জানুয়ারি মাস। শীত এখনো ভালই আছে। বিকাল বেলা স্কুল শেষে দুই-বন্ধু জনি ও ইমু ক্লাসের কথা বলতে বলতে বাসায় আসছে। সবুজ ঘাসের মাঝে পিচ ঢালা রাস্তা। শীতের বেলা হওয়ায় লোকজন অনেক কম। বিজ্রের উপর এসে জনির মাথায় একটা বুদ্ধি এল। ওরা নতুন ক্লাসে উঠেছে। কিন্তু নতুন খাতা এখনো কেনা হয়নি। ফলে এখনও ব্যাগে সেই পুরান খাতাগুলো। এগুলো তো আর কোন কাজে লাগবে না। তারচেয়ে বরং খাতার পাতা গুলো ছিঁড়ে প্লেন বানানো যাক। বিজ্রের উপর থেকে তা ছুঁড়ে মারলে তা উড়ে গিয়ে জলে পড়বে। কি মজাই না হবে।
ব্যাস! যেই কথা, সেই কাজ। অমনি দুজনে বসে প্লেন বানানো শুরু করল। তারপর প্লেন ছুড়ে মারতে লাগল। যারটা যত দূরে যাবে, সেই জয়ী।
পাড়ে একটা ছেলে বসেছিল। ওদের চেয়ে একটু বড় হবে। পড়নে ছেঁড়া পোশাক। শীতে কাবু হয়ে বসেছিল। হঠাৎ প্লেন গুলো দেখে সে একটা নৌকা নিয়ে জলে নামল, এবং প্লেন গুলো ধরতে লাগল।
খেলায় একটা নতুন মাত্রা আসল । এখন জনি ও রতন এক গ্রুপ আর ছেলেটা আরেক গ্রুপ। প্লেন গুলো ছেলেটা ধরতে না পারলে ওরা চেঁচিয়ে উঠে, আর ধরতে পারলে ওরা আরো নতুন করে প্লেন বানিয়ে ছুঁড়ে মারতে থাকে।
এভাবে খেলতে খেলতে কখন যেন তাদের খাতা শেষ হয়ে এল। ইমু ছেলেটিকে বলে উঠল ঃ
“এই শোনো আমাদেরকে প্লেন গুলো দাও, আমরা আবার সেগুলো ছুঁড়ে মারি।"
“যে না, এই গুলা রাতে আগুন পোহানে লাগবো। বেজায় শীত পড়ছে।" – এই কথা বলে ছেলেটি চলে গেল।
সকালের রোদ যেন ঘরে ঢুকে ঘুম না ভাঙ্গাতে পারে, সে জন্যে কিছু মানুষ জানালায় পর্দা দিয়ে রাখে, আবার কিছু মানুষ সেই রোদের প্রত্যাশায় ভোর থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। এভাবেই জগত চলছে ...।
খুবই ভাল হয়েছে ...
উত্তরমুছুন