Saint Martin Island (সেন্ট মার্টিন দ্বীপ )

সেন্ট মার্টিন – ভ্রমণকথা

১৪/১০/২০১২
“এই রিয়েল কোথায়?”– রিক্সা থেকে নেমেই আমি জিজ্ঞেস করলাম ।
“এখনো আসেনি।”– অনি বলল।
“কি বলিস, ওর কাছে তো আমাদের সবার বাসের টিকেট আছে। নিশ্চয়ই পাশে কোন চায়ের দোকানে চা খাচ্ছে আর মজা দেখছে। ঠিক বাস ছাড়ার সময়ই এসে হাজির হবে। ”– আমি বললাম।

আমরা ছয়জন (অনি, রিয়েল, শাওন, জীবন, শাহরিয়ার এবং আমি আশিষ ) ঠিক করলাম সেন্ট মার্টিন যাব। যেই কথা সেই কাজ। রবিবার ক্লাস শেষ হলে সোমবার থেকে ছুটি। আমরা রবিবার রাতের বাসেই যাব ঠিক করলাম।

সেই অনুযায়ী ফকিরাপুল বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে। কিন্তু রিয়েলের দেখা নেই। ফোন দিয়ে যানা গেল, সে জ্যামে পড়েছে। এখন কি করা যায়? এখান থেকে মিনিবাসে করে আমাদের সায়েদাবাদ নিয়ে যাবে। সেখান থেকে যাব সেন্ট মার্টিন। অবশেষে বাস ছাড়ার সময় দৌড়াতে দৌড়াতে রিয়েল এসে হাজির। ফার্মগেট থেকে জ্যাম দেখে সে দৌড়ে বাংলা মোটরের দিকে আসে। তারপর এক পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয় এবং দুজনে সি এন জি করে কমলাপুর আসে। সেখান থেকে আবার সে দৌড়ে ফকিরাপুল আসে। তার সারা শরীর ও মাথা দিয়ে সমানে ঘাম বের হতে থাকে। ভেবেছিলাম কিছু গালি দিব, কিন্তু শরীর থেকে যে পরিমাণ ঘাম বের হচ্ছিল তা দেখে আর কথা বলতেই ইচ্ছা করছিল না।  যাক অবশেষে আমরা বাসে উঠলাম। আমাদের সাথে ব্যাগ তেমন একটা নেই। তবে ওনির গীটার, জীবনের DSLR ক্যামেরা আর শাহরিয়ারের দুটি মোটা বই আছে। (তবে বেচারার একটি পাতাও পড়ার সময় হয়নি ) 

Information: বাসের সিট ভাড়া ৮০০ টাকা (সৌদিয়া সার্ভিস)

১০ টায় সায়েদবাদ থেকে বাস ছাড়ল। বাসে শুধু আমরাই টুরিস্ট, কারন তখন অফ-সিজন ছিল (অক্টোবর মাস)। বাসে অনেক মজা হয়েছে (শাহরিয়ার সব হজবজ জোকস)। জোকস শুনে যত না হাসি, এটা জোকস হতে পারে ভেবে তার চেয়ে বেশি হাসি। ১ টায় বাস কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে থামল। আমরা খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। তারপর বাসে উঠেই ঘুম।

পর্ব ১: ১৫/১০/২০১২


ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। আমাদের বাস এক সরু পিচ ঢালা রাস্তা দিয়ে চলছে। রাস্তার দুপাশে সবুজ গাছ। গাছের ওপাশে পাহাড়। এক পাশে বাংলাদেশের পাহাড়, আরেক পাশে মিয়ানমারের পাহাড়। সরু রাস্তা হওয়ায় বাসটি শান্ত, নিরব, হাল্কা কুয়াশা ঘেরা পরিবেশের মাঝে ধীরে ধীরে চলছিল। মনে হচ্ছিল আমরা কোন স্বপ্নের রাজ্যে যাচ্ছি। বাসের সুপারভাইজার বলল আমরা টেকনাফ এসে পড়েছি। কিছু দূর যাওয়ার পর আমরা নাফ নদী দেখতে পারলাম। রোদের আলোয় জল বালুর মত চিকমিক করছে।



৮টায় জাহাজ ঘাটে বাস থামল। আসলে জাহাজ বলা যায় না, বলা উচিত লঞ্চ। কিন্তু এলাকার মানুষ জাহাজই বলে। কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজ ১০ টায় ছাড়বে। তাহলে এখন কি করা? নাস্তা খেয়ে আমরা পাশের পাহাড় গুলো দেখতে বের হলাম। পাহাড়গুলো বেশী বড় না। তবে এলাকাটাতে প্রায় কোন মানুষ নেই।   

১০টায় সেই জাহাজে করে নাফ নদী হয়ে সেন্ট মার্টিনের পথে চললাম। নদীর ও সাগড়ের মোহনা কি তা আমি আগে দেখিনা। জাহাজ থেকে তা দেখতে পারলাম। কি সুন্দর একটা রেখা চলে গেছে - যার একপাশে মিস্টি জল, আরেকপাশে লোনা জল। জাহাজের দিকে অনেক বক পাখি আসে। সাথে চিপস থাকলে তাদের খেতে দেওয়া যায়। তবে পাখি শীতকালে বেশি দেখা যায়। যেহেতু আমরা অক্টোবর মাসে ট্যুরে বের হয়েছিলাম তাই পাখি তেমন একটা দেখা যায়নি।  


১২টার দিকে আমরা পৌছে গেলাম স্বপ্নের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। জাহাজ থেকে নেমেই খালি পায়ে বীচে নেমে পড়লাম। জীবনে প্রথম সাগর দেখা, জীবনে প্রথম সাগরের জলে হেঁটে বেড়ানো। নীল জলে ঢেউয়ের তালে খেলা করে মাঝিদের নৌকাগুলো, আর খেলা করে আমাদের স্বপ্ন গুলো

হাঁটতে হাঁটতে আমরা হুমায়ুন স্যারের সমুদ্র বিলাস দেখে ফেললাম। তারপর হোটেল অবকাশে গেলাম। অফ-সিজন হওয়ায় ৮০০ টাকা দিয়ে ডাবল বেডের রুম পেয়ে গেলাম। দুপুরে খেয়ে বের হয়ে এলাম নীল আকশের নিচে বালুময় বীচে। রিয়েল, জীবন, শাহরিয়ার জলে নেমে গেল গোসল করতে। আর আমরা ছাতার নিচে আয়েশ করে বসে বসে ডাব খেতে লাগলাম। যেন এ দুনিয়াতে আমাদের আর কোন কাজ নেই, চিন্তা নেই, ক্লাস নেই। এখানে প্রতি ডাব ২০ টাকা। (কত ডাব খেয়েছি তা সঠিক করে বলা যাবে না।) ডাবের জল খুবই ডাণ্ডা আর মিস্টি। এদিকে শাহরিয়ার জলে তার চশমা হারিয়ে ফেলল। সেই থেকে তাকে আমরা কানাবাবা বলতে লাগলাম।
 

সূর্যস্তের সময় অনেক ছবি তোলা হল, সেই সাথে চোরাবালি চোরাবালি খেলা। সূর্যটা কখন যে টুপ করে ডুবে গেল খেয়ালই করলাম না। তারপর বাজার গেলাম। রাতের খাবারের জন্য একটা হোটেলের সাথে রিয়েল চুক্তি (!) করল। ৮০ টাকায় ভরপেট খাওয়া, সাথে মাছ, শুটকি, সবজি, ডাল, ভর্তা। প্রতি বেলা এই হোটেলেই খেয়েছি। খাওয়া শেষে সবাই মিলে আবার বীচে গেলাম। ওনি গীটার নিয়ে গান শুরু করল। রাতে সমুদ্রে জোয়ার আসল। জোয়ারের সময় শান্ত সাগড় যে কি অশান্ত হয় তা না দেখলে বুজানো যাবে না। ঢেউয়ের শব্দ শুনলে মনে হয় সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।


স্থানীয় একজন আমাদের বললঃ
“ভাই আপনারা  এনজিও (N.G.O. ) করতে এসেছেন ?”
“না ভাই, আমরা ঘুরতে এসেছি। ” – অনি বলল।
“সেটাই তো বলছি আপনারা এনজিও করতে এসেছেন।” – সে আবার বলল।
ওনির তো মাথা গরম। বলছে ঘুরতে এসেছি আর এই ব্যাটা বলে কিনা এনজিও করতে এসেছি। তারপর হঠাৎ বুঝতে পারল, উনি এনজয় (enjoy  ) বলতে চেয়েছেন।
“হে ভাই আমরা এনজয় এসেছি।” – অনি হেসে বলল।


এদিকে এক ছেলে আমাকে বিকালে বলল – “ভাই, আপনার বাসা কি শাকিব খানের সাথে?” এদের সরলতা দেখে খুব ভাল লাগে।
“না ভাই, আমরা এক এলাকায় থাকিনা এক শহরে থাকি”- আমি বললাম।
সে কি বুঝল কে জানি। আমাকে বলল – “তাহলে তো আপনাদের মাঝে মাঝে দেখা হয় ।”
এই ছেলে ভাবে যে ঢাকা শহর এই দ্বীপের মত। সবাই সবারে চেনে। তারা এই দুনিয়ার ব্যাপারে কি জানে কে জানে।
“আচ্ছা, তোমার কাকে ভাল লাগে?  শাকিব খান? ” -  আমি বললাম।
“না। সালমান শাহ ” – সে বলল।
“সালমান শাহ তো মারা গেছে, তুমি জানো ? ”-  আমি বললাম।
“কি বলেন? কালকে বিকালেই তো তার ছবি দেখলাম। ” – সে বলল।
আমি অবাক হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারা দুনিয়া থেকে কত খানি পিছিয়ে আছে, আর তাই হয়তো এখনও তারা ভাল মানুষ হয়ে বাঁচতে পারে। নতুন জায়গায় গেলে কত নানা রকম মানুষকে জানা যায়, কত নানা সমাজ আমাদের মাঝে আছে। 

রাত ১২ঃ৩০ এর দিকে সবাই বীচে হাটতে বের হল। তখন আমাদের সাথে আমাদের ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইদের (সাকিব, তমাল, হেলাল) সাথে দেখা হয়ে গেল।

পর্ব ২: ১৬/১০/২০১২

ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আমি ও রিয়েল বীচে চলে গেলাম। নীল আকাশ, নীল জল যেন সীমানার কাছে একেবারে মিশে গেছে। প্রবালের উপর বসে বসে দেখছিলাম আর সমুদ্রের ঢেউ এসে পায়ে বাড়ি দিচ্ছিল। চারদিকে কোন মানুষ নেই, শান্ত, নীরব, কিন্তু কি পরিস্কার আকাশ। দূরে শুধু কিছু মাঝি দেখা যাচ্ছিল।
দুজনে রুমে এসে রেডি হয়ে সবাই মিলে চললাম বাজারে। নাস্তা খেয়ে ৯ঃ৩০ এ রওনা হলাম ছেড়াদ্বীপের পথে। তিনটি দ্বীপ নিয়ে ছেড়াদ্বীপ। জোয়ারের সময় বিচ্ছিন্ন থাকে। ভাঁটা আসলে চর জাগে। ফলে মূল দ্বীপ এবং তিনটি দ্বীপ সংযুক্ত হয়ে যায়। ছেড়াদ্বীপে দুভাবে যাওয়া যায়। হেঁটে এবং মাছ ধরার ট্রলার করে। ট্রলার করে যাওয়া রিস্ক। তাই আমরা হেঁটে রওনা হলাম। হেঁটে গেলে অবশ্যই ভাটার সময় যেতে হবে।  

বীচ ধরে হাঁটছি, আর হাঁটছি। আস্তে আস্তে গরমের মাত্রা বাড়ছে। এক জায়গায় ডাব বিক্রি হচ্ছিল। কে যেন বলল ছেড়াদ্বীপে ডাব পড়ে থাকে, খাওয়ার মানুষ নেই। সেখানে আরো কম দামে ডাব পাবি। তাই ডাব আর খাওয়া হল না। এদিকে শাহরিয়ার বীচে একটা ৫ কেজি ওজনের প্রবাল পেয়ে নিয়ে নিল।

কথা বলছি, মজা করছি আর হাঁটছি। তারপর এক সময় সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। “আর কত দূর, আর কত দূর” – গান গাওয়া শুরু করল অনি। এদিকে এখন আর আশেপাশে মানুষ দেখছি না। ফলে ডাব খেতে চাইলেও এখন আর তার উপায় নাই।

ছেড়াদ্বীপ

ফলে আবার বীচ ধরে হাঁটছি, আর হাঁটছি। প্রায় ১২ টার দিকে আমরা ছেড়াদ্বীপের দেখা পেলাম। সেখানে হোচেন মিয়া নামে একজনের একটি পরিবার মাত্র থাকে। তিনি দূর থেকে আমাদের দেখে এগিয়ে এসে তার ঘরে নিয়ে গেলেন। আমাদের জল খাওয়ালেন, সেই সাথে তার জীবন কথা এবং নানা মজার অভিজ্ঞতা কথা বললেন।

সেখান থেকে বিদায় নিয়ে আমরা দ্বীপ দেখতে বের হলাম। অনেক ছোট দ্বীপ। এদিকে আমাদের সবার পেটে দারুন ক্ষিধা। এতদূর হাঁটলে ক্ষিধা তো লাগবেই। এদিকে কোন দোকান নেই, কিছু নেই। শুধু হোচেন মিয়ার ছেলে ডাব নিয়ে বসে আছে। দাম ৩৫ টাকা। ( কে যেন বলেছিল দাম একেবারে কম ) যাক ডাব খেয়েই আবার দ্বীপ দেখতে বের হলাম। 

একবারে শেষ প্রান্তে চলে এলাম। আমরা বাংলাদেশের একবারে দক্ষিনের শেষ  স্থল সীমানায়। এটাই শেষ প্রান্ত। ভাবতেই ভাল লাগছিল। এখানে প্রচুর বড় বড় মরা প্রবাল আছেসেন্ট মার্টিনে এত বড় প্রবাল দেখা যায় না। যাক হেঁটে যাওয়ার কষ্টটা লাঘব হয়ে গেল। 


তারপর আমরা ফেরার পথ ধরলাম। ভাঁটা পড়ায় এবার জল অনেক কমে গেল। ফলে আমরা কোনাকোনি পথ ধরে হাঁটলাম। ভাঁটা হলেও মাটি শুকিয়ে যায় নি। কাদা কাদা ছিল। আর তারমাঝে অসংখ্য শামুক, ঝিনুক, চিংড়ি ছিল। ফলে দেখে দেখে পা টিপেটিপে হাটতে হয়েছিল। শাহরিয়ার সারাটা রাস্তা ৫ কেজি ওজনের প্রবালটা কাধে নিয়ে হাঁটল। (বস মানুষ )

দুপুর ৩ টায় আমরা আবার বাজারে ফিরে আসলাম, আর কি যে খাওয়া খেলাম তা আর বলা যাবে না। ক্ষিধা বেশী থাকলে যে যেকোন খাবার অমৃত হয়ে যায় - তা প্রমান পেলাম।   

ক্ষিধা কাকে বলে 


বিকালে সবাই রুম এসে ঘুম। সন্ধ্যায় আবার বের হলাম সেই অপরূপ সূর্যাস্ত দেখতে। রাতে জেটিতে গেলাম। সেখানে বসে বসে তারা দেখলাম, আর নানা গল্প করলাম। আর ছিল সমুদ্রের ঢেউয়ের সেই জোরালো শব্দ।
রাতে খাবার খেয়ে আবার আমারা বীচের সীটে গিয়ে বসলাম, আর অনি গান ধরল।

পর্ব ৩: ১৭/১০/২০১২

শেষ দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই সমুদ্রে গোসল করার জন্য রওনা হলাম।  জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসল করা উচিত। ঝাপিয়ে, লাফিয়ে, চারদিক কাঁপিয়ে চিৎকার করে গোসল করলাম। অফ সিজন হওয়ায় বীচে আর কেউই ছিল না। ফলে পুরো বীচটা যেন আমাদের ছিল।

গোসল শেষে নাস্তা শেষ করলাম। এবার আমাদের টার্গেট নারিকেল দ্বীপ। বাজার থেকে ভ্যানে করে হাজির হললাম নারিকেল দ্বীপে। এত নারিকেল গাছ যেন গণে  শেষ হবে না। যেদিকে তাকাই শুধুই নারিকেল গাছ। নারিকেল দ্বীপে আসব আর ডাব খাব না, তা তো হতে পারে না। একটি ছেলে গাছ থেকে ডাব পেড়ে দিল। আর আমরা সদ্য গাছ থেকে পাড়া সতেজ, মিষ্টি ডাব খেলাম। ঢাকা শহরে এই সুযোগ জীবনও পাওয়া যাবে না। 

নারিকেল দ্বীপ থেকে হোটেলে ফিরে চলে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম। ওনি আবার শেষ বারের মত গীটার তুলে নিল হাতে। সবাই মিলে গলা ফাটিয়ে গান গাইলাম। দুপুর ২ টায় বাজারে চলে এলাম। বাসার জন্য অনেকেই শুঁটকি, আচার কিনে নিল। ৩ টার দিকে আমরা জাহাজে উঠলাম। লোনা জলে থাকতে থাকতে কখন যে ভালবেসে ফেলেছি বলতে পারব না । আসার সময় চোখ দিয়ে কেন যেন লোনা জল বের হয়ে এল।
 



-

- ছেড়া দ্বীপ হেঁটে গেলে অবশ্যই ভাটার সময় যেতে হবে।
- জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসল করা উচিত। ভাঁটার সময় নামা উচিত না।

কি কি লাগবে ? 
- সুন্দরী মেয়েরা অবশ্যই ছাতা নিবে। 
- গ্রুপের অন্তত একজনের কাছে খাবার পানির বোতল যেন থাকে। 
- গ্রুপের অন্তত একজনের কাছে এন্টাসিড, প্যারাসিটামল, ব্যান্ডেজ যেন থাকে। 
- ভাল স্যান্ডেল লাগবে। কারন, বালি অনেক গরম থাকে ।  
- সানগ্লাস হলে ভাল হয়। 
- বেড়াতে গিয়ে বেশী ঘুমানো ঠিক না। আর গল্পের বই না নেওয়ায় ভাল।  
- গ্রুপের সবার মাঝে ভাল আন্ডারস্ট্যান্ড থাকা খুব দরকার। অচেনা জায়গায় অনেক সময় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। গ্রুপ লিডার থাকলে ভাল, না থাকলে আরো ভাল। আমাদের কোন গ্রুপ লিডার ছিল না। তবে অনি টাকা পয়সার হিসেব রেখেছিল, আর রিয়েলের অভিজ্ঞতা।     

কি কি আনতে পারবেন ? 
- নানা রকমের শুটকি । বার্মিজ আচার। 
- মেয়েদের সাজার হাজিবাজি জিনিস। 
- প্রবাল পাথর, শামুক । ( প্লিজ শখ হিসেবে ছোট একটি আনতে পারেন কিন্তু বড় বা
বেশী করে আনবেন না। প্রবাল না থাকলে দ্বীপ হুমকির মুখে পড়বে।  আমি কোন প্রবাল
পাথর, শামুক আনিনি। )
খরচঃ 

ঢাকার ফকিরাপুল (রাত ১০টা নাগাদ) হয়ে সায়দাবাদ থেকে বাস ছাড়ে
এসি বাস- ৫০/-
সেন্টমার্টিন সার্ভিস
নন-এসি- ৮০০/-
(সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলী, সোহাগ )

কেয়ারী সিনবাদ, এল সি কুটুব দিয়া, কাজল প্রভৃতি জাহাজ আছে ভালো কেয়ারী সিনবাদ 
ভাড়া ৫৫০ টাকা ( যাওয়া আসা একসাথে)।
 
হোটেলঃ অবকাশ , সীমানা পেরিয়ে, জাহাজ ঘাটায়, ব্লু মেরিন।
সিট ভাড়া সিঙ্গেল ৫০০ টাকা, ডাবল ১০০০ টাকা, ডাবল দুটি ১৮০০ টাকা।
অফ সিজনে দাম কম থাকে। তাছাড়া দরদাম করা যায়।  

আমরা ছয় জন

*** লেখাটি ১৪/১০/২০১২ এ সময়ের কথা বলা হয়েছে। এখন হয়ত অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে। 

লেখক – আশীষ কুমার চন্দ
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ডিপার্টমেন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
০৬/০৪/২০১৩

মন্তব্যসমূহ