Assistant or Full Professor - কার সাথে কাজ করার সুবিধা বেশী

যারাই পি.এইচ.ডি. করার জন্যে আমেরিকা বা কানাডায় অ্যাপ্লাই করার কথা ভাবছে, তাদের মনে একটা প্রশ্ন প্রায়ই হয়, Assistant নাকি Full Professor - কার সাথে কাজ করার সুবিধা বেশী? কাকে ই-মেইল করব? আমার মনে হয়, যে প্রফেসরের রিসার্চ কাজ ভাল লাগবে তাকেই ই-মেইল করা যেতে পারে। ই-মেইল করতে তো আর পয়সা লাগেনা, তাই এত চিন্তা না করে সব প্রফেসরের রিসার্চ কাজ দেখুন আর যাকে ভাল লাগে তাকেই ই-মেইল করতে থাকুন। 

কিন্তু ধরেন আপনার ভাগ্য এবং প্রোফাইল দুটিই খুব ভাল। আপনাকে দুই-তিন জন প্রফেসর নিতে চায়, সবাই আপনাকে ফান্ড দিচ্ছে এবং সব গুলো প্রফেসরের বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্ক মোটামুটি কাছাকাছি। তখন আপনি কি করবেন? তখন আবার আপনার মনে সেই প্রশ্নটিই আসবে, Assistant নাকি Full Professor - কার সাথে কাজ করার সুবিধা বেশী? জগতের সব কিছুরই ভাল মন্দ আছে, এখানেও তাই। আমি কেবল সেই পয়েন্ট গুলোই এখানে বলছি যা সচরাচর দেখা যায়। তবে প্রত্যেকটি মানুষই ভিন্ন, আর প্রফেসররাও মানুষ। তাই, নিচের পয়েন্ট গুলো সবার জন্যে প্রযোজ্য নয়।

তাই, পয়েন্ট গুলো পড়ে আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন, আপনার জন্যে কোনটি ভাল।

Assistant Professor :
সুবিধা:
1.  আপনাকে সময় বেশী দিতে পারবে। সপ্তাহে ২-৩ বার মিটিং করতে চাইবে।  
2.  পেপার পাবলিশ করার আগ্রহ বেশী থাকে। 
3.  আপনি কাজ করতে গিয়ে কোন প্রবলেমে পড়লে, তা সহজেই বুঝতে পারে। 
4. যেহেতু তিনি নিজেও কিছুদিন আগে একজন পি.এইচ.ডি. ছাত্র ছিলেন, তাই আরেকজন পি.এইচ.ডি. ছাত্রকে ভাল ভাবে বোঝতে পারেন। অনেক সময় বন্ধুর মত হয়ে যায়।
5. তিনি আপডেট থাকতে পছন্দ করেন, আর তার স্টুডেন্টদেরকেও  আপডেট  রাখতে চেষ্টা করেন।

অসুবিধা:
1.  আপনার প্রতিটি কাজের রেজাল্ট জানতে চাইবে। যে কাজে রেজাল্ট আসার সম্ভবনা কম, সেটা কখনই করতে দিতে চাইবে না। 
2. দ্রুত কাজ করার তাগিদ দিবে। 
3. ফান্ড নিয়ে সব সময় একটু চিন্তায় থাকে। আর তাই আপনাকেও কিছুটা চিন্তিত থাকতে হতে পারে।
4. ল্যাবে স্টুডেন্ট কম থাকে।  


Full Professor :
সুবিধা:
1.  আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুবিধা পাবেন। 
2.  ফান্ড নিয়ে চিন্তা করতে হয়না।
3.  ল্যাবে অনেক স্টুডেন্ট থাকে। তাই, ল্যাব থেকে অনেক হেল্প পাবেন।  
4. তিনি অনেক কিছু জানেন এবং তাকে অনেকেই জানে। 

অসুবিধা:
1.   আপনাকে খুব একটা সময় দিতে পারবে না। তাই, নিজের কাজের দায়ভার নিজেকেই নিতে হবে।
2.  পেপার পাবলিশ করার আগ্রহ কম থাকে। র্জানালের প্রতি আগ্রহ বেশী থাকে। 
3. আপনি কাজ করতে গিয়ে কোন প্রবলেমে পড়লে, তা সহজেই বুঝতে পারবে না। তবে আপনি তাকে বোঝাতে পারলে, তিনি একটা সমাধান ঠিকই বের করে দিবেন।


আমি ইচ্ছে করে Associate Professor কে নিয়ে কিছু বলেনি। যেহেতু Associate professor হচ্ছে Assistant এবং full professor এর মাঝামাঝি, তাই তাদের মাঝে উপরের সব গুলো সুবিধা অসুবিধার মিশ্রন দেখা যায়।

আপনাদের নিজস্ব কোন মতামত থাকলে, তা কমেন্ট করে জানাবেন। 

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন